কোচবিহার , ৩০ অক্টোবর : কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিদ্রোহী তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামীকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানানোর উদ্দেশ্যে তাকে হন্যে হয়ে খুঁজেও তার সন্ধান পেলেন না এই জেলার রাজ্যের দুই মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও বিনয় কৃষ্ণ বর্মন। শুক্রবার কোচবিহার শহরের তালতলা এলাকায় তার বাড়িতে যান দুই মন্ত্রী। বাড়িতে ছিলেন না মিহির বাবু। তারা পরিবারের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তিনি আলিপুরদুয়ারে তার দিদির বাড়িতে গেছেন। এরপর আর কালবিলম্ব না করে আলিপুরদুয়ারের উদ্দেশ্যে ছোটেন এই দুই মন্ত্রী। কিন্তু সেখানে গিয়েও সন্ধান মেলেনি মিহির গোস্বামীর।
মন্ত্রীদ্বয় জানতে পারেন তিনি আলিপুরদুয়ার থেকে কোচবিহার জেলার পার্শ্ববর্তী রাজ্য অসমের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন তার আরেক দিদির বাড়িতে। এরপর বাধ্য হয়েই কোচবিহারে ফিরে আসেন এই মন্ত্রীদ্বয়। এই ঘটনায় এদিন চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কোচবিহারে।
বৃহস্পতিবারই তৃণমূলের বিদ্রোহী বিধায়ক মিহির গোস্বামীর বাড়িতে যান কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামানিক। মিহির বাবুর সাথে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। দীর্ঘক্ষন কথা হয় সাংসদের সাথে তৃণমূল বিধায়কের। এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে যায় বৃহস্পতিবার। এটা কি শুধুই সৌজন্য সাক্ষাৎকার, নাকি বিজেপিতে যোগ দিতে যাচ্ছেন তৃণমূলের এই বর্ষীয়ান নেতা ?
এই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। তবে সাংসদ এবং বিধায়ক জানিয়ে দেন এটা শুধুমাত্রই সৌজন্য সাক্ষাৎকার।
এই ঘটনার পরই এদিন তড়িঘড়ি মিহির গোস্বামীর বাড়িতে ছুটে যান রাজ্যের দুই মন্ত্রী। কিন্তু বিধায়কের দেখা পাননি তারা। এটা কি নিছকই কোন কাকতালীয় ঘটনা , নাকি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের সাথে দেখা করতে চান না তিনি , এই প্রশ্নও উঠছে বারবার।
এদিন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন , মিহির বাবুর সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তিনি ফিরে এলে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন তারা। রবি বাবু স্পষ্ট জানিয়ে দেন, মিহির গোস্বামীর অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের যোগদান করার কোনো সম্ভাবনা নেই । তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন , আছেন এবং থাকবেন।