মালদা, ২৬ জানুয়ারী: ছিনতাই কাণ্ডের মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার করে তাক লাগিয়ে ছিল মানিকচক থানার পুলিশ। ছিনতাইয়ের এক সপ্তাহের মধ্যেই উদ্ধার ব্যবসায়ীর ছিনতাই হয়ে যাওয়া নগদ ৫৫ হাজার টাকা, মোবাইল ও ডাইরি। এমনকি ছিনতাই কাণ্ডে ব্যবহৃত সেভেন এমএম পিস্তল, চারটি তাজা কার্তুজ ও যে মোটর বাইকে করে ছিনতাই চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা সেই মোটরবাইক উদ্ধার করে মানিকচক থানার পুলিশ। সেই মোটরবাইকের মালিককেও গ্রেপ্তার করেছে মানিকচক থানার পুলিশ। আর এই সাফল্যকে সামনে রেখে ঘটা করে সাংবাদিক বৈঠক করেন মালদা জেলা ডিএসপি হেডকোয়ার্টার প্রশান্ত দেবনাথ।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারী রবিবার দুপুর বারোটা নাগাদ মানিকচকের মোহনায় রাজ্য সড়কের উপর দিনদুপুরে ছিনতাই কান্ড ঘটে। মালদা শহরের বিবেকানন্দ পল্লী নিবাসী হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী রতন সাহার মোটরবাইক আটকে ছিনতাই চালায় দুইজন বাইক আরোহী দুষ্কৃতী। ভরদুপুরে ব্যস্ততম মালদা চাঁচোল রাজ্য সড়কের উপর আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে ছিনতাই হয় ব্যবসায়ীর নগদ ৫৫হাজার টাকা, মোবাইল, ডাইরি সহ কাগজপত্র। হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী রতন সাহা মানিকচক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ছিনতায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে জোর তল্লাশি শুরু করে মানিকচক থানার পুলিশ এবং বড়োসড়ো সাফল্য লাভ করে মাত্র ৭২ঘণ্টার মধ্যে। ছিনতাই কান্ডের মূল ২ জন অভিযুক্ত বাসীর আলি ও সাদিকুলকে গ্রেপ্তার করে মানিকচক থানার। পুলিশ গত ১৯ জানুয়ারী সেই দুইজন দুষ্কৃতীকে মালদা জেলা আদালতে পেশ করে ৪দিনের রিমান্ডে নেয়। জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ঘটনার সাথে যুক্ত আরেকজন দুষ্কৃতী সোলেমান আলীকে গ্রেপ্তার করে মানিকচক থানার পুলিশ। সোলেমান আলীর বাইক ব্যবহার করা হয়েছিল এই ছিনতাই কাণ্ডে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়। এই তিনজন দুষ্কৃতীকে দফায় দফায় চলে জিজ্ঞাসাবাদ এবং এই জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ব্যবসায়ীর ছিনতাই হয়ে যাওয়া নগদ ৫৫ হাজার টাকা, মোবাইল ফোন, ডাইরি সহ অন্যান্য কাগজপত্র। উদ্ধার হয় ছিনতাই কান্ডে ব্যবহৃত সেভেন এমএম পিস্তল, চারটি তাজা কার্তুজ।
মালদা জেলা আদালতের নির্দেশে ব্যবসায়ী রতন সাহা কে তার ছিনতাই হয়ে যাওয়া নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও ডাইরি সহ কাগজপত্র তুলে দেন মালদা জেলার ডিএসপি হেডকোয়াটার প্রশান্ত দেবনাথ। পুলিশের ভূমিকায় ব্যাপক খুশি হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী রতন সাহা।
রতন বাবু জানান, আমি ভাবিনি আমার ছিনতাই হয়ে যাওয়া টাকা আমি ফেরত পাব। কিন্তু আমি টাকা ,মোবাইল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সব ফিরে পেয়েছি।
পুলিশের এই সাফল্যকে সামনে রেখে মানিকচক থানায় সাংবাদিক সম্মেলন করেন ডিএসপি হেডকোয়ার্টার প্রশান্ত দেবনাথ। তিনি সমস্ত ঘটনার বিবরণ দিয়ে মানিকচক থানা পুলিশের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং সারা মালদা জুড়ে এরকম ঘটনা আটকাতে পুলিশ সর্বদা তৎপর বলে জানান তিনি।