কোচবিহার , ৩ সেপ্টেম্বর : তোর্ষা নদীর জল কমতেই ভাঙ্গন । ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ।
বন্যার প্রকোপ কমতেই ভাঙন কবলিত হয়ে পড়েছে কোচবিহারের বিভিন্ন অঞ্চল। তোর্ষা নদীর জল কমার সঙ্গে সঙ্গে কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের মধুপুর কালাপানি এলাকার প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকা ভাঙ্গন কবলিত হয়ে পড়েছে । স্থানীয় সূত্রে জানানো হয়েছে প্রায় এক হাজার পরিবার বন্যা কবলিত । শুক্রবার এলাকা পরিদর্শন করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলতে উপস্থিত হন কোচবিহার জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল জলিল আহমেদ ।
দীর্ঘদিন থেকেই এই এলাকা ভাঙ্গন কবলিত। সেচ দপ্তর এবং পূর্ত দপ্তর যৌথ উদ্যোগে একাধিকবার নদী ভাঙ্গন মোকাবিলায় বাঁধের কাজ করলেও সেই বাঁধ টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি । বলাবাহুল্য কোচবিহার শহর সংলগ্ন হওয়ার প্রাক্কালে মূলস্রোতের আঘাত মধুপুর এলাকাতেই হয় তোর্ষা নদীর। নদী ভাঙ্গনের ফলে বিগত বছরে দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে। প্রতিবছর প্রায় ৭০ বিঘা জমি সহ একটি বিদ্যালয় ভবন নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে ।
জলিল আহমেদ বলেন , মধুপুর এলাকার প্রধান এর কথায় এলাকা পরিদর্শনে এসেছেন তিনি । এলাকার অবস্থা ভয়াবহ । ইতিমধ্যেই সেচ দপ্তরের সাথে তার আলোচনা হয়েছে, পরিষদের পূর্ত দপ্তর সব রকম সহযোগিতা করবে আগামী দিনে বাঁধ নির্মাণের ক্ষেত্রে। বর্তমানে ভাঙ্গন কিভাবে আটকানো যায় এবং কতটা এলাকা পাইলিং করা যায় তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে । জলিল আহমেদ এর সঙ্গে এদিন এলাকা পরিদর্শনে যান কোচবিহার জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি কমলেশ অধিকারী ও ।