মালদা ,২৩ ফেব্রুয়ারী : প্রশিক্ষণ নিতে আসা ভোট কর্মীদের বিক্ষোভ । মালদার ইংরেজবাজার শহরের অক্রুরমনি করোনেশন ইনস্টিটিউশনে বিক্ষোভ ভোট কর্মীদের। নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত অর্থের টাকার খাওয়ার দেওয়া হচ্ছে না। দেওয়া হচ্ছে কম অর্থের খাওয়ার। যার ফলে দীর্ঘ সময় তাদের এই প্রশিক্ষন নিতে অসুবিধা হচ্ছে। এই নিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পরেন প্রশিক্ষন নিতে আসা ভোটকর্মীরা। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে শাসক বিরোধী তরজা। যদিও দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
বিধানসভা ভোট আসন্ন। সেই কারনে যেমন রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের তৎপরতা শুরু হয়েছে তেমনি শুরু হয়েছে প্রশাসনিক তৎপরতা। সেই মত নির্বাচনী নির্ঘণ্ট শুরুর আগে ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষন শুরু হয়েছে জেলার বিভিন্ন স্কুল গুলিতে । ফলে ভোট কর্মীদের টিফিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ভোট কর্মীদের জন্য ১৭০ টাকা বরাদ্দ করলেও দেওয়া হচ্ছে মাত্র ১৮ টাকার টিফিন এই অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায় ভোট কর্মীরা।
পরিস্থিতি সামাল দিতে স্কুলে গাজল এর বিডিও উষ্ণতা মোক্তান ও জেলা প্ল্যানিং অফিসার এস্থা লেপচা পৌঁছলে তাকে ক্ষোভের কথা জানান ভোট কর্মীরা ।
ভোট কর্মী মানস গোস্বামী বলেন , নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত অর্থের খাওয়ার দেওয়া হচ্ছে না। সকাল দশটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত কিভাবে কাজ করা যাবে। এই স্কুলে মোট কর্মী রয়েছে প্রায় ছয়শো জন। যারা বহুদুর থেকে এসেছে। কি করে কাজ করবে। সেখানে দেওয়া হচ্ছে মাত্র ১৮টাকার খাওয়ার। এই কারনে আমরা বিক্ষোভ দেখিয়েছি। অবলম্বে খাওয়ারের ব্যবস্থা করতে হবে।
এস্থা লেপচা বলেন , ভোট কর্মীদের একাংশ বিক্ষোভ দেখিয়েছে সবাই নয় । গতকাল রাতে অর্ডার এসেছে । ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা যে নির্দেশ এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা করা হবে। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর।
জেলা বিজেপির সহ সভাপতি অজয় গাঙ্গুলী বলেন, এখানেও রয়েছে কাটমানির খেলা । যার সেই কারনে নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত অর্থ বরাদ্দ হলেও খাওয়ার দেওয়া হচ্ছে না ভোট কর্মীদের। এই সরকারের চরম অপদার্থতা। অবিলম্বে তদন্ত করে শ্রীঘরে পাঠানোর দাবি আমরা জানাচ্ছি।
জেলা তৃণমূলের কো- অর্ডিনেটর দুলাল সরকারের বলেন , সরকারি কর্মচারীদের সাথেই রয়েছে সরকার ও প্রশাসন । অন্য কিছু না পেয়ে এখন এই ধরনের অভিযোগ করছে বিরোধীরা।বিরোধীরা এই ধরনের অভিযোগের জন্য রয়েছে। আর যাদের কাজ করার তারা কাজ করছে। বিগত দিনে বিরোধীরা এই কাজ করে সরকার চালিয়েছেন তাই এই কথা বলছেন।
মালদার জেলা শাসক রাজর্ষি মিত্র জানিয়েছেন, গতকাল রাতে অর্ডার এসে পৌঁছেছে । এত তাড়াতাড়ি সবকিছু অ্যারেঞ্জ করা সম্ভব হয়নি। পরের ফেজ থেকে সমস্ত কিছু ঠিকঠাক থাকবে।