শিলিগুড়ি , ৪ জুলাই : শিলিগুড়ি প্রধাননগরের একটি হোটেলে অন্তঃসত্ত্বা যুবতীকে খুন করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয় মেদিনীপুরের কোলাঘাট থানার বাসিন্দা বীমা এজেন্ট সুব্রত মাইতি কে শুক্রবার । শিলিগুড়ি অ্যাডিশনাল ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে আজ তার সাজা ঘোষণা হয় । ১৪ বছর পর এই সাজা ঘোষণা হল আজ । বিচারক সুব্রত মাইতি কে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন ।
ঘটনার সূত্রপাত ২০০৬ । দূর সম্পর্কের আত্মীয়া তথা একই অফিসে কাজ করার সূত্রে ওই যুবতীর সঙ্গে পরিচয় হয় কোলাঘাট থানার বাসিন্দা সুব্রত মাইতির । ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে অফিসের কাজে বের হচ্ছে বলে পরিবারকে জানিয়ে দার্জিলিং নিয়ে আসে ওই যুবতীকে সুব্রত মাইতি । সেখানে দুদিন সময় কাটিয়ে স্বামী স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে শিলিগুড়ির প্রধাননগর এলাকার একটি হোটেলে ওঠে তারা ১৯ ফেব্রুয়ারী। সেই হোটেল থেকেই ২০০৬ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী ওই যুবতীর গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয় । তদন্তের পর জানা যায় ওই যুবতী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন ।
এদিন সাজা ঘোষণার পর সরকারি আইনজীবী অমিতাভ মুখার্জী জানান ৪২ বছরের সুব্রত মাইতি কে তার নিজের বিয়ের আসর থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আনে । এরপর সে জেল হেফাজতেই ছিল । ১৪ বছর পর আজ অন্তঃসত্ত্বা যুবতী খুনের অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক । তিনি এও বলেন এই ঘটনাটি পুরোপুরি সুপরিকল্পিত । যেহেতু যুবতী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন সেহেতু বলা যেতেই পারে দুজনকে হত্যা করেছে সুব্রত মাইতি ।