শিলিগুড়ি , ৯ মে : ধর্ষন ও পাচারের অভিযোগে দুই দুষ্কৃতী কে গ্রেপ্তার করল শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের ভক্তিনগর থানার পুলিশ ও স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ। ধৃতদের নাম সাফিজুল ইসলাম ও উত্তম সুত্রধর। সাফিজুল অসমের কোকরাঝাড় এলাকার বাসিন্দা । উত্তমের বাড়ি ভক্তিনগর থানার দশরথপল্লীতে । ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে । জানা গিয়েছে অসম থেকে পশ্চিমবঙ্গে এসে নিজের নাম পরিচয় গোপন করে মহিলাদের ফুঁসলিয়ে তাদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার পর নানা জায়গায় তাদের পাচার করা হত ।
ভক্তিনগর থানা ছাড়াও জলপাইগুড়ি মহিলা থানা, শিলিগুড়ি মহিলা থানা, মেটেলি থানা ও হলদিবাড়ি থানায় মহিলা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। প্রতিটা কেসের মুল অভিযুক্ত রাহুল সরকার ওরফে সাফিজুল ইসলাম। এই কাজে সাফিজুলকে সহযোগিতা করার অভিযোগে উত্তম সূত্রধরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ৷
এসিপি ইস্ট শুভেন্দু কুমার সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান , সাফিজুল মেয়েদের ফুঁসলিয়ে উত্তমের বাড়িতে নিয়ে যেত তারপর তাদের ধর্ষন করে নেশার ইনজেকশান দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পাচার করত। এ বিষয়ে ভক্তিনগর থানায় প্রথম অভিযোগ আসে ২০১৬ সালে । পরে আরও দুটি অভিযোগ আসে । বহুদিন ধরেই অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছিল বিভিন্ন থানায় । শেষে গত ৬ মে বাগডোগরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিকে পুলিশ তদন্ত করে দেখে এই সমস্ত থানার অভিযোগের মূল অভিযুক্ত ধৃত দুষ্কৃতী । তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উত্তম সূত্রধরের খোঁজ পায় পুলিশ। ইতিমধ্যেই ভক্তিনগর থানার অভিযোগ অনুযায়ী তিনটি মহিলাকেই উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাকি সমস্ত বিষয়ে তদন্তে চালানো হচ্ছে বলে এসিপি জানান ।